ত্রিফলা (Three Myrobalans)
রোগ প্রতিরোধ, বলবৃদ্ধি, অকালবার্ধক্য রোধ, দেহের টক্সিন/বিষাক্ত বস্তু নিঃসরন, রেচক – মোট কথা শরীর সুস্থ্য রাখার জন্য যা লাগে সব আছে ”ত্রিফলা তে” । এ জন্যই বলা হয় – সকল রোগের এক বিধান, দিনে দুবেলা ত্রিফলা খান !
.
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে, মানবদেহ তিনটি মূল বা সার বস্তুর সমন্নয়ে গঠিত। এই সার বস্তু তিনটি হলো বায়ু(Vata), পিত্ত ( Pitta) এবং কফ (Kapha) । “বাতা/বায়ু” আমাদের মন ও স্নায়ু তন্ত্রের সাথে জড়িত। এর সভাব বা পকৃতি হচ্ছে শুষ্ক, ঠান্ডা, হালকা এবং শক্তিশালী । ২য় সার বস্তু হলো “ পিত্ত/ অগ্নি” যা আমাদের বিপাক( হজম) ক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত, যা আমাদের দেহের যাবতিয় খাদ্যের হজম ক্রিয়ার এবং হজম পরবর্তী খাদ্যের যাবতিয় সার বস্তুর শোষন নিয়ন্ত্রন করে। এর স্বভাব বা পকৃতি হলো উষ্ণ, আদ্র এবং হালকা। ৩য় সার বস্তু “কফ/শ্লেষ্মা”, অনেক সময় পানি বা শ্লেষ্মাকে জীবনের মূল ভিত্তি বলা হয়, এটি আমাদের দেহের সকল গঠন ক্রিয়া নিয়ন্ত্রন করে। এটি আমাদের দেহের নিত্ত নতুন কোষ তৈরি, মাংশ পেশির গঠন, হাড়ের গঠন এবং বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রন করে। এর পকৃতি বা স্বভাব হলো ঠান্ডা, আদ্র এবং ভারী।
এই বায়ু পিত্ত এবং কফের সমন্নয়ে আমাদের দেহ গঠিত বলে, এ গুলোর যে কোনো একটির ভারসম্যহীনতা বা অস্বাভাবিকতা আমাদের দেহে বিভিন্ন প্রকারের রোগ সৃষ্টি করে । আর ত্রিফলাতে রয়েছে এর সার বস্তু সমূহের মধ্যে ভারসম্য রক্ষার কার্যকরি উপাদান। এই তিন সারবস্তুর ভারসম্য রক্ষা করতে পারে বলে একে বলা হয় ত্রিদোষ নাশক । ত্রিফলার প্রতিটি ফলের ত্রিদোষ নাশক গুণাবলী থাকলেও এর একেকটি ফল একেকটি সারবস্তুর ভারসম্য রক্ষায় বেশি কার্যকরী ।
.
তিনফলের সমাহারকে ত্রিফলা বলে ! এই তিনফল হলো
১) হরিতকী ( Terminalia Chebula)
২) আমলকি( \’aamla\’ বা \’Indian gooseberry\’ )
৩) বহেরা ( Terminalia bellirica )
.
১) হরিতকী ( Terminalia Chebula) আমাদের দেহের বাতা/বায়ু নামক সারবস্তুর ভারসম্য তথা মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের কার্যবলী নিয়ন্ত্রণ ও ভারসম্য রক্ষা করে।
২) আমলকি( \’aamla\’ বা \’Indian gooseberry\’ ) আমাদের দেহের পিত্ত/আগ্নি নামক সরবস্তুর ভারসম্য রক্ষায় কার্যকর । ঠান্ডাকারক, সংকোচক, মৃদু বিরোচক গুন সম্পন। তাই আমাদের বিপক জনিত বিভিন্ন সমস্যা যেমন- আলসার,পাকস্থলীর প্রদাহ, আন্ত্রিক প্রদাহ, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া,লিভার ইনফেকশন ও ইনফ্লামেশন, শরীরের জ্বালাপোড়া নিবারনে আমলকি কাজ করে । আধুনিক গবেষনায় দেখা গেছে যে আমলকি ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে, হৃদপিণ্ডের টনিক । আমলকি ভিটামিন সি এর উৎস।
৩) বহেরা ( Terminalia bellirica ) “কফ/শ্লেষ্মা” নামক সার বস্তুর ভারসম্য রক্ষা করে। দেহের প্রধান জীবনিশক্তি শ্লেষা তথা রসকে বিশুদ্ধ করে এবং এর ভারসময় রক্ষা করে। বহেরা হাপানি, এলার্জি, ব্রঙ্কাইটিস এবং কাশির ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরি।
.
ত্রিফলা ত্রিদোষের ভারসাম্য আনয়ন করে ও আমা নাশক হিসেবে কাজ করে আমাদের দেহকে সুস্থ্য রাখে ।
.
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় ত্রিফলার উপর গবেষনা করে আজ ত্রিফলার গুনাবলীর প্রমান করেছেন, যা প্রায় ৫০০০ বছয় আগেই আয়ুর্বেদ গবেষকরা আমাদের জানিয়েছেন !
.
ত্রিফলাঃ
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
দেহের রক্ত সন্চালন বাড়ায়।
রক্তচাপ কমায়।
হৃদরোগ কমায়।
রক্তে কোলেস্টেরল কমায়।
লিভারের রোগ প্রতিরোধ করে ।
পিত্ত নিঃসরণ বাড়ায় ।
কফ নিঃসরণ করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
ওজন হ্রাস করে।
ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে।
এলার্জি কমায় ।
HIV , CMV হার্পেস (Harpes) সহ সকল ভাইরাস প্রতিরোধ করে।
এইডস প্রতিরোধ করে ।
উপকারী ফ্যাটি এসিড (HDL)এর পরিমান বাড়ায়.
শ্বাসকষ্ট কমায় .
দৃষ্টিশক্তি হ্রাস রোধ করে ।
ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধে কাজ করে ।
রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়।
অকাল বার্ধক্য রোধ করে ।
শুক্রের উৎপাদন বাড়ায় ।
যৌন দুর্বলতা দুর করে …. আরো অসংখ্য রোগের উপকার করে ..…।
.
সকল রোগের জন্য এবং সকল রোগ প্রতিরোধ করার জন্য ত্রিফলা কার্যকর।
(তথ্য সূত্রঃ বইঃ নিরোগ থাকার উপায় , লেখকঃ ডাঃ আলমগীর মতি, প্রকাশকঃ মডার্ণ প্রকাশনী, ৬ষ্ঠ প্রকাশঃ জুন ২০১২, পৃষ্ঠাঃ ১১৭, বইঃ আয়ুর্বেদীয় ভৈষজ্যতত্ব ও দ্রব্যগুণ । লেখকঃ অধ্যক্ষ কবিরাজ শ্রী নিকেতন চক্রবর্তী ,সংস্করণঃ শহীদ দিবস ১৯৮৬ , পৃষ্ঠাঃ ৩৯, বইঃ আয়ুর্বেদীয় দ্রব্যগুণসার, লেখকঃ কবিরাজ শ্রী বাদল মজুমদার, প্রকাশকঃ বাংলাদেশ বোর্ড অব ইউনানী এন্ড আয়ুর্বেদিক সিস্টেমস অব মেডিসিন, ৩য় প্রকাশঃ জুন ২০১১ , পৃষ্ঠাঃ ১৮২)
.
খাওয়ার নিয়মঃ
প্রতিদিন সকালে ৬ গ্রাম ও রাতে ৬ গ্রাম সেবন করুন । খালিপেটে বা খাবার পর উভয় অবস্থায় খাওয়া যায় । তবে কোনো সমস্যা না হলে ( যেমন পেটে গ্যাস, পায়খানা নরম হয়ে যাওয়া ) খালি পেটে খাওয়াই উত্তম ।
খাওয়ার সাধারণ নিয়মঃ
২ চা চামুচ নিয়ে রাতে ১ গ্লাশ পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন, সকালে শুধু পানি টুকু পান করবেন । এভাবে ২ চা চামুচ নিয়ে সকালে ১ গ্লাশ পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন, রাতে ঘুমের পূর্বে শুধু পানি টুকু পান করবেন ।
.
(তথ্য সূত্রঃ বইঃ নিরোগ থাকার উপায়, লেখকঃ ডাঃ আলমগীর মতি , প্রকাশকঃ মডার্ণ প্রকাশনী, ৬ষ্ঠ প্রকাশঃ জুন ২০১২, পৃষ্ঠাঃ ১১৭ )
ত্রিফলা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে ডাঃ মোঃ ফাইজুল হক ( আয়ুর্বেদিক, ইউনানী ও হোমিওতে সরকারী প্রাক্টিস রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত চিকিৎসক ও লেখক) পরিচালিত FH Shop .
.
ডাঃ মোঃ ফাইজুল হক এর সরাসরি নিজের তত্ত্বাবধানে হার্বস/ঔষধি ভেষজ থেকে সঠিক নিয়মে চুর্ন / পাউডার করা হয়েছে । কোনো কেমিকেল বা সাধারন পির্জাভেটিব ও ব্যবহার করা হয়নি ।
.
১০০% খাঁটি হার্বস ব্যবহার করার জন্য আমাদের কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিন, ঢাকার মধ্যে হোম ডেলিভারির সুযোগ এবং ঢাকার বাহিরে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পন্য ডেলিভারি দেওয়া হয় ।
.
আমাদের কাষ্টমার কেয়ারও পরিচালিত হয় কোয়ালিফাইড ভেষজবিদ/আয়ুর্বেদ/ইউনানী চিকিৎসক এর তত্ত্বাবধানে ।
.
২০০ গ্রাম ১৭০ টাকা ।
https://youtu.be/kD1XNvlQSdQ
helalbp1 –
ত্রিফলা মানুব দেহের জন্য এত উপকারি একটি হাবর্স যে যদি সবাই বুঝত তাহলে সারাজীবন একটানা খেয়ে যেত! ১০০% খাঁটি হার্বস পাওয়া সত্যিই কঠিন তবে আপনাদের এখানে আশা করি ১০০% খাঁটি হার্বসই পাব। ধন্যবাদ এমন একটা উদ্দ্যোগ নেওয়ার জন্য।
Asad Bin Minhaz –
বাজারে অনেক কোম্পানির ত্রিফলা দেখেছি । আমি এটা মধু দিয়ে খাই । আমি আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ আছি । আপনাদের এই খাঁটি ত্রিফলা সব মানুষ খেয়ে সুস্থ থাকুক এই প্রত্যাশাই করি ।
Vhorershisir –
Trifola is a best medicine.
Arif –
ভালো খুব
Md. Shahidul Islam –
Good
FH SHOP –
Thanks
Hridoy –
এটা কি বীজ সহ চূর্ণ করা?
Foysal Ahmed –
আমি নিজে এিফলা খাই,,অসাধারণ স্যার,স্যার,,আপনাদের,, এিফলা হাবস,,একদম,,ফ্রেশ,,,
Shahidul –
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ❤
MD Shamim hossain –
Very good
তিথি –
আমার ত্রিফলা প্রয়োজন, কিভাবে পেতে পারি ?
মুহাম্মাদ জুয়েল –
ত্রিফলা মধু দিয়ে কেম্নে খাই