🕉️ পঞ্চভূত চূর্ণ – প্রকৃতির শক্তি একত্রে
পঞ্চভূত – শব্দটির মানে প্রকৃতির পাঁচটি মৌলিক উপাদান: পৃথিবী, পানি, আগুন, বায়ু ও আকাশ। এ ধারণা এসেছে প্রাচীন আয়ুর্বেদ থেকে, যেখানে বিশ্বাস করা হয় এই পাঁচ তত্ত্বের ভারসাম্যই মানুষকে রাখে সুস্থ, শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত।
আমাদের পঞ্চভূত চূর্ণ – এই নামটি এসেছে এই দর্শনের অনুপ্রেরণা থেকে। এখানে ৫টি বিশেষ ভেষজ উপাদান একত্রিত হয়েছে, যেগুলো আপনার দেহ ও মনকে এনে দিতে পারে প্রকৃতির পূর্ণ ভারসাম্য ও শক্তি।
🌿 পঞ্চভূত উপাদানসমূহ:
✔ অশ্বগন্ধা
✔ শিমুলমূল
✔ শতমূল
✔ তেতুল বীজ
✔ তালমূল
(সব উপাদানই গুঁড়ো অবস্থায়, অর্থাৎ চূর্ণ)
✅ উপকারিতা:
✔️ দেহের দুর্বলতা দূর করে, কর্মশক্তি ও স্ট্যামিনা বাড়ায়
✔️ যৌনক্ষমতা ও হরমোন ভারসাম্য উন্নত করে
✔️ দ্রুত বীর্যপাত বা প্রী-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনে সহায়তা করে
✔️ বীর্য ঘন করে, স্পার্ম কাউন্ট ও প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায়
✔️ নার্ভ ও মস্তিষ্ককে করে প্রশান্ত
✔️ হজমে সহায়তা করে, গ্যাস্ট্রিক ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়
✔️ ক্লান্তি, অবসাদ ও দুশ্চিন্তা দূর করতে সাহায্য করে
🕒 পঞ্চভূত সেবনবিধি:
১) শিমুল মূল চুর্ন-২০০ গ্রাম ২) শতমূল চূর্ন-২০০ গ্রাম ৩) অশ্বগন্ধা চূর্ণ-২০০ গ্রাম ৪) তেতুল বীজ চূর্ণ-২০০ গ্রাম ৫) তালমূল চূর্ণ-২০০ গ্রাম সবগুলো সমপরিমানে একত্রে মেশাবেন এবং একটি বড় পাত্রে সংরক্ষন করবেন অথবা মিক্সড করার পর সাথে দেওয়া ৫টি কৌটাতেও আবার রেখে দিতে পারেন এবং একটা শেষ হলে আরেকটা শুরু করবেন। ২ চা চামচ মিক্সড হার্বস রাতে ১ গ্লাস পানিতে ভেজাবেন এবং সকালে শুধু মাত্র পানি টুকু পান করবেন, আবার একই নিয়মে সকালে ভেজাবেন রাতে পানি পান করবেন। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন যাতে ৬-৮ ঘন্টার বেশি ভেজানো অবস্থায় না থাকে, তাতে গন্ধ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
বেশি ভাল ফলাফল পেতে ভিজিয়ে রাখা ভেষজ উপাদান থেকে শুধু পানি আলাদা করে সেই পানির সাথে ২-৩ চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
.
খাওয়ার আগেও খেতে পারেন, পরেও খেতে পারেন তবে গ্যাসের সমস্যা থাকলে পরে খাওয়াই ভালো । বেশিদিন রাখার জন্য এবং ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য কাঁচের কৌটায় সংরক্ষন করা ও মাঝে মাঝে রোদে দেওয়া ভালো।
⚠️ সতর্কতা:
- ১২ বছর নিচের শিশুকে না দেওয়াই ভালো
- যাদের অ্যালার্জি বা জটিল রোগ আছে, তাদের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত
- গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মায়েরা বিশেষজ্ঞের পরামর্শে সেবন করবেন
🧾 কেন “পঞ্চভূত” নাম?
এই চূর্ণে ব্যবহৃত ৫টি ভেষজ উপাদান দেহের ভিন্ন পাঁচটি সিস্টেমে কাজ করে। যেমন:
নার্ভাস সিস্টেম, হরমোন সিস্টেম, ডাইজেস্টিভ সিস্টেম, প্রজনন সিস্টেম, ও রক্তসংবহন সিস্টেম – ঠিক যেমন পঞ্চভূত দেহের ভারসাম্য বজায় রাখে, তেমনি এই চূর্ণ দেহের ভিতরকার শক্তি পুনরুদ্ধার করে।
🌟 প্রাকৃতিক, কেমিক্যালমুক্ত এবং সেফ ফর্মুলা – পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত
Reviews
There are no reviews yet.